ভাদ্র মাসে মাছের যত্নে করণীয়
কেবল বর্ষা ঋতু শেষ হয়েছে। এখনো পানিতে টইটুম্বুর। সঙ্গে হঠাৎ হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি। আবার ভ্যাপসা গরম। এ সময়ে মৎস্য সম্পদের ক্ষতির সম্ভাবনা একটু বেশি। ফলে এ মাসে মাছের প্রতি একটু বাড়তি নজর দিতে হবে। ভাদ্র মাসে প্রয়োজনীয় কাজগুলো দেখে নিন।
ভাদ্র মাসে মাছের যত্ন
পুকুরে সার ব্যবহারের মাত্রা আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলতে হবে। জৈব সার ব্যবহার না করাই ভালো। খাদ্য ঘাটতির জন্য পরিমাণ মতো অজৈব সার ব্যবহার করা দরকার। পুকুরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
পুকুরে নতুন মাছ ছাড়ার সময় এখন। মাছ ছাড়ার আগে পুকুরের জলজ আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। পুকুর জীবাণুমুক্ত করে সঠিক সংখ্যক সুস্থ সবল পোনা মজুদ করতে হবে। যেসব পুকুরে মাছ আছে; সেসব পুকুরে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীতে পুকুরপাড়ে সবজি চাষে সফল মাছ চাষিরা
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি-পুকুরে পাঙ্গাশ মাছের চাষ, ধান ক্ষেতে মাছ চাষ, প্লাবিত এলাকায় ঘেরের মাধ্যমে রাজপুঁটি ও চিংড়ির চাষ, পুকুরে রুই জাতীয় ও চিংড়ির মিশ্র চাষ এবং প্লাবিত এলাকায় খাঁচায় মাছ চাষ করা যেতে পারে।
বন্যার কারণে ভেসে যাওয়া পুকুরের মাছ পুকুরে রাখতে ভেসে যাওয়া পুকুরগুলোর ১৫-২০ মিটার দূরত্বে একটি চটের ব্যাগে ৫-৭ কেজি ধানের কুড়া বা গমের ভুসি ৫০-৬০ সেন্টিমিটার পানির নিচে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে। তবে ব্যাগটিতে অবশ্যই ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে। খাবার পেয়ে মাছ পুকুরেই অবস্থান করবে।
কোনো কারণে পুকুরের পানি যদি দূষিত হয়; তবে ভাইরাস, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে মাছের ক্ষত রোগ দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেহের ভারসাম্যহীনতা, শরীরে লাল দাগ দেখা যায়। পরে মাছ ক্ষত রোগে মারা যায়। এ রোগ প্রতিকারে বেশি আক্রান্ত মাছ উঠিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: রঙিন মাছ চাষে জীবন রঙিন ইমরানের
প্রতি শতক পুকরে ১ কেজি চুন ও ১ কেজি লবণ প্রয়োগ করতে হবে। ছোট ও ব্রুড মাছের জন্য প্রতি কেজি খাদ্যের সঙ্গে ৬০-১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন মিশিয়ে মাছকে খাওয়ানো যেতে পারে।
সূত্র: কর্ষণ ডটকম
এসইউ/জেআইএম