তরমুজে ঘুরবে বরগুনার অর্থনীতির চাকা
কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তায় বরগুনায় কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি মৌসুমে তরমুজের বীজ বপন শুরু করেন তারা। জমি তৈরি থেকে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাস সময় লাগে তরমুজ বিক্রি করতে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করলেও তরমুজ উচ্চফলনশীল হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।
বরগুনার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন জমিকে তরমুজ চাষের উপযুক্ত করতে। বরগুনা সদরের বাশবুনিয়া এলাকার কৃষকরা যখন তরমুজের বীজ বপন শুরু করেছেন; তখন কৃষক তাজেম উদ্দিনের ২০ শতক জমিতে বীজ ফুটে তরমুজের গাছ বড় হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে তাজেম বলেন, ‘এবার ২০ শতক জমিতে এক মাস আগে বীজ বপন করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে এক মাস আগেই তরমুজ বাজারে বিক্রি করা যাবে। ২০ শতক জমিতে চার মাসে সবমিলিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। বৃষ্টির কবলে না পড়লে দেড়-দুই লাখ টাকা বিক্রি হবে।’
চাষি লুৎফর রহমান মিলন বলেন, ‘তরমুজ চাষে খরচ একটু কম কিন্তু ঝুঁকি বেশি। যেহেতু আমাদের অঞ্চলে আবহাওয়া একটু খারাপ হলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। বৃষ্টি হলে গাছ এবং তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। এতে লাভের পরিমাণ কমে যায়।’
বরগুনার মাঝেরচর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক কৃষকের ক্ষেতে তরমুজ ধরেছে। যা অনেকের চেয়ে আগে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তাদের লাভের পরিমাণ বেশি হবে।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, ‘এ বছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে ১৬-১৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বরগুনায় তরমুজ চাষের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। আমরা সঠিক পরামর্শ এবং সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশে আছি।’
এসইউ/জেআইএম