কুড়িগ্রামে ৩৯৫ বরজে পান চাষ, দামে খুশি চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২২

কুড়িগ্রামে পান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বংশ পরম্পরায় পান চাষে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন তারা। দীর্ঘমেয়াদী এ আবাদ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকেই। পানের বরজে জৈব সারের সঠিক প্রয়োগ আর নিয়মিত পরিচর্যা করলে মৌসুমি আবাদের চেয়েও ভালো আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর উপজেলাসহ বেশ কিছু এলাকায় পানের চাষ হচ্ছে। জেলায় মোট ৩৯৫টি পানের বরজ আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পান চাষে লাভবান হবেন চাষিরা।

পান চাষি প্রলয় বর্মন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পান চাষ লাভজনক। একবার পানের বরজ লাগালে অনায়াসে ১০ থেকে ১২ বছর পান পাওয়া যায়। প্রথম বছর পান চাষে খরচ বেশি পড়লেও পরের বছর থেকে ভালো আয় করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘এতে ছত্রাক রোগ ছাড়া তেমন রোগবালাই নেই। নিয়মিত স্প্রে আর গাছের যত্ন নিলে ছত্রাক দূর করা সম্ভব। এ ছাড়া অতি বৃষ্টি ও অতি শীতে পানের ক্ষতি হয়। এ সময় বরজে খড়ের মাঁচায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।’

jagonews24

ফুলবাড়ী উপজেলার নিমাই হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে বরাই পান চাষ করেছি। পানের বরজ, বেড়া, মাঁচা তৈরিতে ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গতবছর এ জমি থেকে ৪৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছি। এ বছর পানের গাছ ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি এ বছর আরও বেশি পান বিক্রি করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে বরাই জাতের একশ পান ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের পান ১১০-১৩০ টাকা ও ছোট সাইজের পান ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো থাকায় পান গাছে কোনো রোগবালাই না হলে লাভবান হবো।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ৮৫ হেক্টর জমিতে মোট ৩৯৫টি বরজে পান চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া সুপারি বাগান, বাড়ির আঙিনাসহ বিস্তীর্ণভাবে পান চাষ হচ্ছে। পান চাষ বাড়ানোর জন্য জেলায় ১ হাজার হেক্টর সুপারি গাছে পান গাছ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ফজলুল করিম ফারাজী/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।