সিরাজগঞ্জে কেঁচো সারে সফল মুক্তার
সিরাজগঞ্জে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছেড়ে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সারের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন।
এ সারের চাহিদা বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের উদ্যোক্তা টুক্কু মুক্তার নিজ বাড়ির আঙিনায় ছায়াযুক্ত ৬ শতক জমিতে ৭টি বেড় স্থাপন করেছেন। এতে এক বছরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন সফলতা।
এসব উৎপাদনকৃত কেঁচো সার ও কেঁচো স্থানীয় কৃষক, ড্রাগন চাষি, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিরাসহ এনজিও কর্মীরা কিনে থাকেন।
টুক্কু মুক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০২০ সালের শেষের দিকে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩টি রিং দিয়ে প্রাথমিকভাবে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করি। মাটির নিচে সাধারণ পলিমাটি দিয়ে ইটের বেড়া গোবরের উপরে পাটের রিজেক্ট ছালা দিয়েই বেড় তৈরি করি।’
তিনি সফলতা পেলে দ্বিতীয়বার প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০টি রিং সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়ে একটু বড় আকারে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে ইউটিউবে খুঁজে পান ভিয়েতনাম পদ্ধতি। পরে আরও ৬ শতক জমিতে ১টি বেড় তৈরি করেন।
১টি বেড় তৈরি করতে তার প্রায় ২ হাজার টাকার খরচ হয়। ১টি বেড়ে প্রাথমিক কাঁচামাল হিসেবে পাশের গরুর খামার থেকে কাঁচা গোবর ১৫০০ কেজি ও ৬ কেজি কেঁচো সংগ্রহ করেন। ৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বেড় থেকে ১ হাজার কেজি কেঁচো সার ও ১৮ কেজি কেঁচো পান তিনি।
বর্তমানে তার ৭টি বেড়ের মধ্যে ৩টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করেছেন। বাকি ৪টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো অল্পকিছু দিনের মধ্যে তুলবেন বলে জানান।
রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষিবিদ কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কেঁচো সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়াও মাটির প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির পানির ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে ফসলের ফলন ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।’
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেঁচো সারের বেশ চাহিদা রয়েছে।’
এম এ মালেক/এসইউ/এএসএম