মিরসরাইয়ে ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ
দেশের অন্য স্থানে শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় পুরোদমে বাজারে আসেনি। চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজি পুরোপুরি বাজারে আসবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে কয়েকজন কৃষক অগ্রীম সবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় চলতি বছর ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করা হচ্ছে। বিভিন্ন কৃষি জমিতে এখন পর্যন্ত ৬০০ হেক্টর শিম, বাকি ৬০০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, পালং শাক, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করা হয়েছে। শীতের শুরুতে সবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্য ওয়াহেদপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ জানান, তিনি ১৭ শতক জমিতে বেগুন ও ২২ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। জমিতে আর্দ্রতা তৈরি হয়ে যাওয়ায় অনেক চারা মারা গেছে। তবুও শেষ মুহূর্তে চারা পরিবর্তন করছেন। যাতে লোকসান না হয়। ভালো দাম পেলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন।
একই এলাকার আব্দুল হান্নান জানান, তিনি ১৫ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে লাল শাকের বীজও ফেলেছেন। খিরার আগে লাল শাক বিক্রির উপযোগী হয়ে গেছে। বাজারে লাল শাকের এখন ভালো দাম। প্রতি মুঠো লাল শাক ৩৫-৪০ টাকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। লাল শাক বিক্রি শেষে খিরার জন্য জৈব সার দেবেন তিনি।
আমবাড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল হুদা বলেন, ‘আমি ৩০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। গত এক সপ্তাহে তিনবার বাজারে বিক্রি করেছি। ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত এমন দাম পেলে ভালো লাভ হবে।’
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপজেলায় চাষ করা শীতকালীন শাক-সবজি এখনো পুরোপুরি বিক্রির উপযোগী হয়নি। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ও ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসবে। কৃষকরা এবার ভালো দাম পাবেন। সবচেয়ে বেশি শীতকালীন সবজি চাষ হয় উপজেলার দুর্গাপুর, খইয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ রাহা জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপজেলায় আরও জমি চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দ্রুত শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করবে।’
এসইউ/জেআইএম