ছাদ কৃষিতে সফল কলেজছাত্র রুমান
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ছাদ বাগান করে সফল হয়েছেন কলেজ ছাত্র রুমান। উপজেলার দক্ষিণ লেন্জাপাড়া গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান রুমান পড়াশোনার পাশাপাশি নিজ বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। ফুল, সবজি, ফলদ ও ঔষধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে তার ছাদ বাগানে।
বাগানে উৎপাদিত ফল ও সবজি একদিকে যেমন নিজেদের চাহিদা মেটায়, অন্যদিকে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীর মাঝেও বিতরণ করছেন। তার ছাদ কৃষি দেখে অনেকেই উৎসাহী হচ্ছেন। ২০১৯ সালে করোনাকালে ১৮০০ বর্গফুটের ছাদে শুরু করেন এই বাগান। শুরুর দিকে অল্প কিছু ফলের গাছ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে এই বাগানে আছে ৪২ জাতের ফলদ, ১২ জাতের ফুল, ৮ জাতের ঔষধি এবং ৬ জাতের সবজিসহ দেড়শতাধিক গাছ রয়েছে।
ছাদজুড়ে রয়েছে কয়েক প্রজাতির আম, কাঁঠাল, লিচু, কমলা, মাল্টা, আপেল, করমচা, ড্রাগন ফলের গাছ। বেলি, গোলাপ, নাগ চম্পা, পেন্সিল ক্যাকটাস, কাটা মুকুটের পাশাপাশি রয়েছে থানকুনি, অ্যালোভেরা, রাসুন্ডার মতো ঔষধি গাছও।
সাইফুর রহমান রুমান জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চারা সংগ্রহ করে ছাদ বাগানটি তৈরি করেছেন। বাগান থেকে উৎপাদিত ফল ও সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীকে বিতরণ করেছেন।
রুমানের বাগানে রয়েছে থাই কাটিমন জাতের আম গাছ। এ গাছ থেকে বারোমাস আম পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরও রয়েছে আফ্রিকান ও বারি-১ জাতের মাল্টা, সূর্য ডিম আম, কাশ্মীরি আপেল, ভারতীয় ত্বীন ও ব্যানানা আম। এসব গাছের পরিচর্যায় রুমানের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সময় দেন।
তার এই ছাদ কৃষি দেখে অনেকই উৎসাহী হচ্ছেন। পরামর্শ নিচ্ছেন কিভাবে নিজ নিজ ছাদে গড়ে তুলবেন বাগান। যাতে নিজ হাতে তৈরি বাগান থেকে পরিবারের ফল ও সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।
ছাদ বাগান দেখতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম সবুজ বলেন ‘ছাদ বাগান আমার খুব পছন্দ। রুমানের ছাদ কৃষি দেখে আমরা উৎসাহিত হচ্ছি। এখানে এসে অনেক নতুন প্রজাতির গাছের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। আমিও এ ধরনের বাগান করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, ছাদ কৃষিতে শখের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও পাওয়া যায়। এখন অনেকেই ছাদ কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি যাবতীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এমএমএফ/এমএস