ধানের ব্লাস্টরোগ, যা করবেন কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২২

ধানের ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায়ও এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

এ সময় মাঠে থাকা ধান ব্লাস্ট রোগ থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়—এর করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)।

এআইএস বলছে, চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় রোগটি দেখা দিতে পারে। এটি ধানের পাতা, গিট এবং নেক বা শিষে আক্রমণ করে থাকে। সে অনুযায়ী রোগটি পাতা ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট নামে পরিচিত।

আমন মৌসুমে সব সুগন্ধি জাতে এবং বোরো মৌসুমে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৮৮ সহ সরু আগাম সুগন্ধি জাতে শিষ ব্লাস্ট রোগ বেশি হয়ে থাকে।

এ রোগ থেকে রক্ষায় করণীয়ঃ
১. আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।

ধানের ব্লাস্টরোগ, যা করবেন কৃষক

২. ব্লাস্ট রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জমিতে ১ থেকে ২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে পারলে এ রোগের ব্যাপকতা অনেকাংশে কমে যায়। শুকনো জমিতে এ রোগ বেশি দেখা যায়।

৩. পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. ব্লাস্ট রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ছড়ায়। দিনের বেলায় গরম (২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) ও রাতে ঠাণ্ডা (২০ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড), শিশিরে ভেজা দীর্ঘ সকাল, অধিক আর্দ্রতা (৮৫ শতাংশ বা তার অধিক), মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করলে ধানের জমিতে রোগ হোক আর নাই হোক, থোর ফেটে শিষ বের হওয়ার সময় একবার এবং ৫ থেকে ৭ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ৫০ শতাংশের বেশি ট্রাই-ফ্লক্সিস্টোবিন ২৫ শতাংশ গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করতে হবে।

এনএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।