দেশি মুরগির খামারে সফল সাইদুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২১

আমাদের দেশে একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারে মুরগি পালন করতে দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে বর্তমানে সেটি তেমন দেখা যায় না।

তবে বেকারত্ব দূরীকরণসহ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মুরগি পালনকে মনে করছেন যুবকরা। স্বল্প পুঁজিতে মুরগির ব্যবসা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের সাইদুল ইসলাম এখন বেশ স্বাবলম্বী।

উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের চারপারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুর রহমানের একমাত্র ছেলে সাইদুর রহমান পেশায় ছিল একজন ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী। ২০২০ সালে কোভিট-১৯ বাংলাদেশে আক্রমণের পর থেকে লকডাউনে লকডাউনে দোকানপাট খুলতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়ে যান সাইদুল ইসলাম।

fram

ইউটিউব দেখে দেশি মুরগি পালনে আগ্রহী হয়ে শুরু করেন দেশি মুরগি পালন। সাইদুল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি ছোট মুরগির সেড তৈরি করে ৩৫টি দেশি মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দুইটি ভালোমানের মুরগির সেড এবং ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার দেশি মুরগি রয়েছে।

দেশি মুরগি পালনের ব্যাপারে সাইদুল ইসলাম জানান, বহুদিনের প্রবল ইচ্ছা ও মনোভাব থাকায় আমি আমার নিজ জমিতে দেশি মুরগি পালন শুরু করি। মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে আমার দুইটি মুরগির সেড রয়েছে এতে আমার মুরগি জায়গা হয় না, আমি আরো দুইটি মুরগির সেড তৈরি করবো।

fram

বর্তমানে প্রতি মাসে সেখান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং সামনে আরো মুরগির ফার্ম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি পালনের ইচ্ছা আছে তার ।

তার দেশি মুরগির খামারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এবং প্রতিটি মুরগির বাচ্চা বিক্রয় আকার ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে মুরগির খামার দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে তার ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।