বিশ্বের ৩ দেশে যাচ্ছে মেহেরপুরের সবজি
অডিও শুনুন
মেহেরপুরের গাংনীর চাষিদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি বাঁধাকপি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের পর এবার যাচ্ছে তাইওয়ান।
স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। দেশের সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে গাংনীর চাষিদের। এখানে চাষ করা হয় বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি যা বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় বেড়েছে বৈদেশিক আয়।
চলতি মৌসুমে ৫০০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি পাঠানো হয়েছে তাইওয়ানে। আরো ৬০০ মেট্রিক টনের চাহিদা রয়েছে। দিন দিন আরো চাহিদা বাড়ছে।
বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার। আর ওই কপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায়। এ কাজে সহায়তা করছে এগ্রো ফ্রেশ নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি ও বিদেশ রপ্তানি শুরু হওয়ায় চাষিদের মাঝে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান চাষিরা।
মেহেরপুর গাংনী উপজলার শাহারবাটি গ্রামের কৃষক শাহারুল ইসলাম ও আরিফ হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারে বাঁধাকপির দাম অনেক কম। একটা কপি ১ থেকে ২ টাকা পিচ বিক্রি হচ্ছে। অথচ কোম্পানির চুক্তিবদ্ধ চাষিরা বেশি দামে কপি বিক্রয় করছেন।
বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার। আর ওই কপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায়। এতে অনেকেই কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিরাপদ সবজি চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আর একই গ্রামের কৃষক আলী হোসেন জানান, এ বছর কপি চাষ করে বিঘা প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আগামীতে কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিরাপদ সবজি চাষ করবেন তিনি।
এগ্রো ফ্রেশের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার রুবেল আহম্মেদ জানান, গাংনী অঞ্চলে শতাধিক কৃষকের মাধ্যমে ৭৫ একর জমিতে নিরাপদ উপায়ে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে।
চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৪৫ জন চাষি। আগামি বছর আরো অনেক সবজি রপ্তানি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দিন জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির এ সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের নজর রাখতে হবে। তাহলে দেশের উদ্বৃত্ত সবজি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
এমএমএফ/জেআইএম