মাগুরায় কচু চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৮:১৭ এএম, ০৫ অক্টোবর ২০২০

মাগুরায় কচুর আবাদ বেড়েছে। জেলার বাজারগুলোতে কচুশাকের চাহিদা বেড়েছে। শহরের অলিগলিতেও কচু বিক্রি হচ্ছে। এ বছর ১৭০ হেক্টর জমিতে কচুর চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১০০-১২০ মণ কচু পাচ্ছেন চাষিরা।

জমিতে কচুর আবাদ করে চাষিরা স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে। এ থেকে এক হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন লতি উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

দেশে কচুর অনেক রকমের ব্যবহার রয়েছে। কচুশাক, কচুর ডগা, কচুরমুখী ও লতি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।

আগাম জাতের কচু চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে মাগুরার চাষিদের মুখে। চলতি মৌসুমে বর্ষার প্রকোপ বেশি থাকায় কচুর সেচ খরচও কম হয়েছে। যেখানে দুদিনে একবার সেচ আর প্রতি সেচেই সার দিতে হয় সেখান এ বছর খরচও কম হয়েছে। রোগ ও পোকাও তুলনামূলক কম।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। শ্রীপুর উপজেলার কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৯ কাঠা জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছেন। খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে।

তিনি বলেন, ৯ কাঠা জমিতে কচু চাষ করেছি। এক কাঠা জমি থেকে ৫-৬ মণ করে কচু পেয়েছি। জমি থেকেই ৫৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছি। প্রতিবার তো এমন দাম হয় না, এবার কচুর দাম খুবই ভালো। যদি এমন বাজার থাকে তাহলে কচুতে প্রচুর পয়সা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ অঞ্চলে বেড়েছে।

কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখীকচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন। করোনায় কচুশাক খাওয়া ভালো। সে কারণে মানুষ এ শাক বেশি খাচ্ছে।

মো. আরাফাত হোসেন/এমএমএফ/এসইউ/এএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।