২০ হাজার টাকায় শুরু করে ৭ লাখ টাকার মালিক
অডিও শুনুন
করোনাকালে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। এই অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরই উদ্যোক্তা হিসেবে হাতেখড়ি। কেউ সময়টাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছেন কেউ আরও বড় স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছেন। তেমনি এক উদ্যোক্তার গল্প শোনাচ্ছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত-
বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার মহিষাবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল খালেক মণ্ডলের ছেলে মেহেদুল ইসলাম সাগর। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনার জন্য কলেজ বন্ধ হওয়ায় অবসর সময় কাজে লাগাতে, তার ছোটবেলার লালিত স্বপ্ন নার্সারি তৈরি করেন।
প্রথমে নার্সারি তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হলেও পাশের গ্রামের কৃষক আপেলের সহযোগিতায় তার পৈতৃক জমি ও কিছু জমি লিজ নিয়ে মোট ২.১৫ একর জমিতে চারা রোপণ শুরু করেন।
মাত্র ২০ হাজার টাকা মূলধনে মাত্র কয়েক মাসে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তার নার্সারির চারার অর্থমূল্য সাত লাখ টাকা।
সাফল্যের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল নার্সারি করার। কিন্তু পরিবারের সাপোর্ট না থাকায় শুরু করতে পারিনি। করোনার এ অবসর সময় কাটাতে নিজেই উদ্যোগ নেই নার্সারি করার। পাশের গ্রামের মারিয়ম নার্সারির মালিক ও কৃষক আপেল ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ শুরু করি।
চারা তৈরির স্পার্মগুলো আমি আশপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করি। শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে তেমন ইচ্ছুক নই। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজেই কাজ করি। মাঝে মাঝে এলাকার ছোট ভাইয়রা এসে কাজে সাহায্য করে।
আমি আমার নার্সারিতে যখনই কাজ করতে আসি তখনই মন প্রফুল্ল হয়। আমার ভালোলাগার অন্যতম এক জায়গা হয়ে উঠেছে এই নার্সারি। মূলত করোনাকাল এর জন্য নয়, আমার আগে থেকেই শখ ছিল নার্সারি করার। আশা করছি একদিন এই নার্সারির মাধ্যমেই আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো।
বর্তমানে মেহেদুল ইসলাম সাগরের নার্সারিতে বারো হাজার আমের চারা, দুই হাজার মালটার চারা, দেড় হাজার লিচুর চারা, বড়ইয়ের চারা চার হাজার, লটকনের চারা তিন হাজার ও বাদামের চারা এক হাজার।
মিজান/এসইউ/এএ/জেআইএম