যেভাবে চিনবেন ভেজাল সার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

অল্প পরিশ্রমে সবাই বেশি ফসল আশা করেন। এ জন্য জমিতে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হয়। তবে সার হতে হবে ভেজালমুক্ত। কিন্তু বাজারে ভেজাল সারের ভিড়ে আসল সার চেনা কষ্টকর। এবার জেনে নিন আসল সার চিনবেন যেভাবে।

ইউরিয়া
কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান হয়। এ সার কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান আছে কিনা। অসাধু ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া সারে কাচের গুঁড়া অথবা লবণ ভেজাল হিসেবে মেশান। চা চামচে অল্প পরিমাণ ইউরিয়া সার নিয়ে তাপ দিলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হয়ে সার গলে যাবে। যদি ঝাঁঝালো গন্ধসহ গলে না যায়, তবে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল। এ রকম সার ব্যবহার করা যাবে না।

টিএসপি
এই সার পানিতে মেশালে সাথে সাথে গলে যাবে না। আসল টিএসপি সার ৪-৫ ঘণ্টা পর পানির সাথে মিশবে। কিন্তু ভেজাল টিএসপি সার পানির সাথে মেশালে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গলে যায়। কেনার সময় এভাবে সার পরীক্ষা করে নিতে হবে।

ডিএপি
এ সার চেনার জন্য যে কোনো চামচে অল্প ডিএপি সার নিয়ে একটু গরম করুন। যদি এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হয়ে গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল। যদি আংশিক গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি আংশিক পরিমাণ ভেজাল। এছাড়া কিছু পরিমাণ ডিএপি সার হাতের মুঠোয় নিয়ে চুন যোগ করে ডলা দিলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে। যদি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের না হয় তাহলে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল।

পটাশ
এ সারের সাথে ইটের গুঁড়া ভেজাল হিসেবে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। গ্লাসে পানি নিয়ে তাতে পটাশ সার মেশালে সার গলে যাবে। ইট বা অন্য কিছু ভেজাল হিসেবে মেশানো থাকলে তা পানিতে গলে না গিয়ে গ্লাসের তলায় পড়ে থাকবে। তলানি দেখে সহজেই বোঝা যাবে সারটি আসল নাকি ভেজাল। এ সার কেনার সময় পরীক্ষা করে নেবেন।

জিংক সালফেট
এই সারে ভেজাল হিসেবে পটাশিয়াম সালফেট মেশানো হয়। জিংক সালফেট চেনার জন্য এক চিলতে জিংক সালফেট হাতের তালুতে নিয়ে তার সাথে সমপরিমাণ পটাশিয়াম সালফেট নিয়ে ঘষলে ঠান্ডা মনে হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে। এভাবে জিংক সালফেট সার ভেজাল কীনা তা বোঝা যাবে।

মিজান/এসইউ/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।