বকুলের বাগানে ৮ লাখ টাকার আম!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ী গ্রামে বারি-৪ জাতের আম চাষ করে সফল হয়েছেন কলেজ শিক্ষক বকুল হোসেন। তার সফলতায় এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এখন আম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমচাষিদের প্রয়োজনীয় কারিগরী সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ১ একর জমিতে ২৯০টি বারি-৪ জাতের আমের চারা রোপণ করেছেন বকুল। ছোট গাছে আম বেশি ধরায় আমগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে। অনেক আম ওজনে ১ কেজির কাছাকাছি। কিছু আম ব্যাগিং করে ডেকে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট বেশিরভাগ গাছেই ১০০ কিংবা তার বেশি আম ঝুলছে। কিছুদিন পর গাছ থেকে নামিয়ে প্যাকেটিং করে বিক্রি করা হবে।

অর্গানিক পদ্ধতিতে আম চাষে সফল বকুল হোসেন বলেন, ‘আমি মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ী কলেজের ইংরেজি প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি আমের বাগান করার চিন্তা আগে থেকেই ছিল। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে আম চাষে মনোনিবেশ করি। তাদের পরামর্শে ২০১৩ সালে বারি-৪ জাতের আম বাগান গড়ে তুলি।’

in

তিনি বলেন, ‘গত বছর বাগান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। তাতে ৩ লাখ টাকার উপরে লাভ হয়েছে। এ বছরও আম ধরেছে ৪শ মণের বেশি। ভালো বাজার পেলে ৭-৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারব। তবে এ করোনার সময়ে একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছি।’

বাগানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে সন্তুষ্ট স্থানীয় শ্রমিকরা। ৪ জন শ্রমিক সারা বছর কাজ করেন। তা দিয়েই তাদের সংসার চলে। বাগানের শ্রমিক হারুন ও সুরুজ বলেন, ‘আগে ক্ষেতে-খামারে কাজ করেছি। এ আম বাগান করার পর থেকে তার বাগানে কাজ করি। সেই টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলে।’

in

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আম চাষ করে শিক্ষক বকুল হোসেন সফল হয়েছেন। বাগানে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই তিনি আমাকে ফোন দেন। আমি বাগানে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসি।’

উপজেলা কৃষি অফিসার ফাইজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘অনেকে ভাবেন, আম চাষ করলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যায় তা দূর হয়ে যায়। বারি-৪ জাতের আম চাষ করলে লাভের সম্ভাবনা বেশি।’

in

ময়মনসিংহ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বারি-৪ জাতের আমের স্বাদ ভালো। এ আম গাছ বাসার ছাদেও লাগানো যায়। কেউ বাগান করার পরিকল্পনা করলে এ জাতের আম চাষে সফলতার সম্ভাবনা আছে।’

ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক নিখিল চন্দ্র সেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বারি-৪ জাতের আমের ভালো দাম পাওয়া যায়। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ জাতের আমের প্রদর্শনী হতে পারে। যাতে অন্যরা এ জাতের আম চাষে আগ্রহী হন।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসইউ/এএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।