যে দেশে সাপের অস্তিত্ব নেই, কিন্তু কেন?
বন-জঙ্গল, মাঠ-ঘাট, ঘর-আঙিনাসহ প্রায় জায়গাতেই সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। তা প্রায় সব দেশেই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। শহরের কথা না হয় বাদই দিলাম। তাই বলে পুরো একটি দেশে কোনো সাপই নেই। এ কথাও কি বিশ্বাস হয়। বিশ্বাস না হলেও সত্য।
জানা যায়, সাপ বিহীন সেই দেশটি ইংল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী একটি ছোট দ্বীপ আয়ারল্যান্ড। সেখানে কোনো সাপের অস্তিত্ব নেই। প্রকৃতি বা পরিবেশে কখনোই সাপ দেখতে পাবেন না। শুধু কিছু ব্যক্তি শৌখিনভাবে বা পোষার জন্য সাপ রেখেছেন। এছাড়া চিড়িয়াখানায় আছে।
প্রশ্ন আসতে পারে, এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ বা রূপকথা প্রচলিত আছে কি? যদি রূপকথার প্রসঙ্গ আনি, তাহলে গল্পটি হলো- সেন্ট প্যাট্রিক নামে একজন ধর্মপ্রচারক মন্ত্রবলে সব সাপ সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে আয়ারল্যান্ডে কোনো সাপ আসতে পারেনি।
কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, ধর্মযাজকের পক্ষে সাপ ধ্বংস করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আয়ারল্যান্ডের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিষয়ক গবেষক নাইজেল মুনা গান জানান, আয়ারল্যান্ডে কখনোই সাপ ছিল না। সেখানে সাপের কোনো ফসিলও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে ভৌগোলিক দিক বিবেচনায়, আয়ারল্যান্ডের খুব কাছে কোনো স্থলভূমি নেই। তাই আইরিশ সমুদ্রের উপর দিয়ে ৭০ কিলোমিটার সাঁতরে কোনো সাপ আসা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বরফ ও শীতল মহাসাগরে সাপ বসবাস করতে পারে না।
আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস বলছে, একসময় আয়ারল্যান্ড বা ইংল্যান্ড-কোনো দেশেই না-কি সাপ ছিল না। তার কারণ হচ্ছে- বরফের যুগে এ দ্বীপগুলোতে ঠান্ডা রক্তের সরীসৃপ প্রাণী বসবাসের উপযোগী ছিল না। ফলে রূপকথার চেয়ে ভৌগলিক কারণই বেশি যৌক্তিক বলে মনে করছেন অনেকেই।
এসইউ/পিআর