হেমন্তে ধান ও গমের যত্ন নেবেন যেভাবে
হেমন্ত ফসলের ঋতু। তাই কৃষি ভুবন ব্যস্ত থাকে কাজে-কর্মে। সোনালি ধানের সম্ভার আর গমের সুঘ্রাণে ভরে থাকে বাংলার মাঠ-প্রান্তর। কৃষক মেতে ওঠে ঘাম ঝরানো সোনালি ফসল নিয়ে। সেই সাথে শীতকালীন ফসলের প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হয় এখনই। আসুন জেনে নেই কার্তিক মাসে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে-
আমন ধান: এ মাসে আমন ধান পেকে যায়। তাই রোদেলা দিন দেখে ধান কাটতে হবে। আগামী মৌসুমের জন্য বীজ রাখতে চাইলে প্রথমেই সুস্থ-সবল ভালো ফলন দেখে ফসল নির্বাচন করতে হবে। এরপর কেটে, মাড়াই-ঝাড়াই করার পর রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে।
শুকানো গরম ধান আবার ঝেড়ে পরিষ্কার করতে হবে। ছায়ায় রেখে ঠান্ডা করতে হবে। পরিষ্কার ঠান্ডা ধান বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। বীজ রাখার পাত্রকে মাটি বা মেঝের ওপর না রেখে পাটাতনের ওপর রাখতে হবে। পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে হলে ধানের সাথে নিম, নিসিন্দা, ল্যান্টানার পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে মিশিয়ে দিতে হবে।
গম: কার্তিক মাসের দ্বিতীয় পক্ষ থেকে গম বীজ বপনের প্রস্তুতি নিতে হয়। দো-আঁশ মাটিতে গম ভালো হয়। বেশি ফলনের জন্য গমের আধুনিক জাত যেমন- আনন্দ, বরকত, কাঞ্চন, সৌরভ, গৌরব, শতাব্দী, সুফী, বিজয়, বারি গম-২৭, বারি গম-২৮ রোপণ করতে হবে।
বীজ বপনের আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। সেচযুক্ত চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ১৬ কেজি এবং সেচবিহীন চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি বীজ বপন করতে হবে। ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় এবং ইউরিয়া তিন কিস্তিতে উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বপনের ১৩-২১ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ প্রয়োজন এবং এরপর প্রতি ৩০-৩৫ দিন পর ২ বার সেচ দিলে খুব ভালো ফলন পাওয়া যায়।
এসইউ/জেআইএম