বিষমুক্ত আম বিক্রি করছেন স্বাস্থ্যকর্মী মাজেদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ২০ জুন ২০১৯

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের মাজেদুল হক। পেশায় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী। নিজের আম বাগানসহ গ্রামের বিভিন্ন বাগান থেকে বিষমুক্ত আম সংগ্রহ করেন। পরে নিজের ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তা বিক্রি করেন। এ বিষমুক্ত আম কেনার জন্য প্রতিদিন ক্রেতারা ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।

বিষমুক্ত আম কিনতে আসা তারিকুল ইসলাম জানান, এখন বাজারে সব ফরমালিন দেওয়া আম বিক্রি হচ্ছে। তাই বিষমুক্ত আম কিনতে এখানে এসেছি।

ঝিনাইদহ শহরের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমার ছেলে ঢাকায় চাকরি করে। সে ফেসবুকে দেখেছে, এখানে ফরমালিনমুক্ত আম বিক্রি হয়। তাই ছেলের কাছে বিষমুক্ত আম পাঠানোর জন্য এখানে এসেছি। শুধু ছেলের মুখেই নয়, অনেকের মুখেই বাগানের কথা শুনেছি। এখান থেকে ৭০ টাকা দরে মালদই আম ২০ কেজি কিনেছি।’

mango-in-2

মাজেদুল হক প্রতিবছর প্রায় ১৫০-২০০ মণ আম সরবরাহ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কুরিয়ার এবং পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে আম পাঠান তিনি। বিভিন্ন জেলার চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের কাছে ‘মাজেদুল হক’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে প্রচারের মাধ্যমে এ আম বিক্রি করা হয়।

স্বাস্থ্যকর্মী মাজেদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৬ সালে বড়ভাই কেএম সাইফুজ্জামানের অনুপ্রেরণায় এ কাজ শুরু করি। নিজের আমবাগানসহ গ্রামের বিভিন্ন বাগান থেকে সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ আম ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছি।’

mango-in-2

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে ফল সরবরাহ করা অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের। কিন্তু ফল পাঠানোর পর যখন ভালো ফিডব্যাক পাই; তখন মনের মাঝে প্রশান্তি কাজ করে। আমার চেষ্টায় ১০ জন হলেও তাদের বিষমুক্ত ফল খাওয়াতে পেরেছি।’

মাজেদ বলেন, ‘গাছ থেকে সংগ্রহ করা আধাপাকা আম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্যাকিং করে পাঠানো হয়। কেমিক্যালহীন আম ২-৪ দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।’

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।