যেভাবে কুমড়ার মাছি পোকা দমন করা যায়

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮
মিষ্টি কুমড়ার পোকা দমন

মাছি পোকা কুমড়া ফসলের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। সব কুমড়া ফসলের মাছি পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়। এ জন্য এ ফাঁদ স্থাপনের নিয়ম-কানুন জানাটা জরুরি। আসুন জেনে নেই কিভাবে কুমড়ার মাছি পোকা দমন করবেন-

মিষ্টি কুমড়ার পোকা দমন

লক্ষণঃ
স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী রং ধারন করে। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।

 

মিষ্টি কুমড়ার মাছি পোকা দমন

মাছি পোকা: স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে, যা শুকিয়ে বাদামি রং ধারন করে। ডিম থেকে কিড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায়। অবশেষে হলুদ হয়ে পচে ঝরে যায়।

machi-in-(1)

ফেরোমন ফাঁদ:পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ খুব ভালো কাজ করে। প্রতি ৪-৫ শতকে একটি ফেরোমন ফাঁদ যথেষ্ঠ। তবে ফেরোমন ফাঁদের পানি নিয়মিত বদলাতে হবে। মৃত পোকা পরিষ্কার করতে হবে। একটি ফেরোমন লিউর ২ মাস কাজ করে। ফেরোমন ফাঁদ গাছের ক্যানপি লেভেল থেকে ১ ফুট উপরে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাঁধতে হবে।

বিষটোপ: পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কাটুন। এরপর এতে সামান্য বিষ মিশিয়ে বিষটোপ তৈরি করুন। শেষে মাটির পাত্রে ক্ষেতের মাঝে স্থাপন করতে পারেন।

machi-in-(2)

অন্য প্রতিকার: ফেরোমন ফাঁদ ছাড়াও অন্য উপায়ে মাছি পোকা দমন করা যায়-

  • ১। আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।
  • ২। কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া।
  • ৩। প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে।
  • ৪। আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
  • ৫। পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ (যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
  • ৬। সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা কট বা রেলোথ্রিন ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

সাবধানতা এবং করনীয়

পরবর্তী করণীয়: ফাঁদ বা টোপের পর যে বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে, তা হলো- স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাওয়া যাবে না। এমনকি বিক্রিও করা যাবে না।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।