বারি আলুর দ্বিগুণ ফলন পেতে চাইলে

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০৬ মে ২০১৮

লবণাক্ত জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহিষ্ণু বারি-৭২ জাতের আলুর বীজ প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক রোপণ করে সফলতা পাওয়া গেছে। এ জাতের আলু উচ্চ ফলনশীল ও লবণাক্ত সহিষ্ণু। তাহলে জেনে নিন এর চাষ পদ্ধতি-

বৈশিষ্ট্য
১. গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ও ইনটারমিডিয়েট টাইপ।
২. কাণ্ড সবুজ-বেগুনি এবং এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি খুব বেশি। মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি কম।
৩. পাতা গাঢ় সবুজ এবং মাঝারি আকারের।
৪. মধ্য শিরায় ও কচিপত্রফলকের কিনারায় এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি নেই।
৫. আলু খাটো ডিম্বাকৃতি এবং মাঝারি থেকে বড় আকারের। আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
৬. আলুর শাসের রং হলুদ। চোখ অগভীর।

potato-in

উপযোগী এলাকা
সমগ্র বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এ আলু চাষের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী।

বপনের সময়
মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়। জাতটি তাপ সহনশীল বিধায় প্রায় একমাস দেরিতে চাষ করলেও ভালো ফলন পাওয়া যায়।

উৎপাদন
এ জাতের আলু হেক্টরপ্রতি প্রায় ৪০ মেট্রিক টন করে উৎপাদিত হয়। সাধারণ জাতের আলুর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ফলন হয়।

ফলন
বপনের ৮৫-৯০ দিন পর আলু উত্তোলন করা যায়। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি বা হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি বা হেক্টর প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।