বারোমাসি সজনে চাষ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

ফাল্গুন-চৈত্র মাসের সজনের ডাঁটা এখন বারো মাস চাষ করা যাবে। যশোর হর্টিকালচার সেন্টার বারোমাসি সজনের চারা উৎপাদন করেছে। বিভিন্ন এলাকায় রোপণকৃত চারায় ডাঁটা ধরতে শুরু করেছে। বিনাযত্নে সম্পূর্ণ লাভজনক সজনে চাষ। একবার লাগালেই হলো। গরু-ছাগলের উপদ্রব ঠেকানো ছাড়া সার ও কীটনাশকের দরকার নেই। বারো মাসই ডাঁটা ধরবে গাছে।

যশোর হর্টিকালচার সেন্টার জানায়, বারোমাসি সজনে গাছ দ্রুত বাড়ে। চারা রোপণের ছয় মাসেই ডাঁটা ধরে এবং সারা বছরই ডাঁটা পাওয়া যায়। পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে ১ হাজার ৬০০টি ডাঁটা হয়। সাধারণত ২০টি ডাঁটায় ১ কেজি হয়। এ হিসেবে একটি গাছে ২ মণ ডাঁটা ধরে। ৮০ টাকা কেজি হিসেবে এর দাম ৬ হাজার ৪০০ টাকা।

sojne-in

বাণিজ্যিকভাবে কেউ চাষ করলে ১ বিঘায় ৪০টি গাছ লাগাতে পারবেন। গাছ থেকে পাওয়া যাবে বছরে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। যশোর হর্টিকালচার সেন্টার এ বছরই প্রথম এই সজনের চারা উৎপাদন করেছে। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে প্রায় ৭ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বাতজ্বর চিকিৎসায় সজনে ব্যবহৃত হয়। পোকামাকড়ের কামড়ে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে এর পাতার রস। হৃদরোগ, রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি, শ্বেতী, টাইফয়েড, প্যারালাইসিস, লিভার, ত্বক ও চোখের রোগ প্রতিরোধ করে। সজনের বাকল, শেকড়, ফুল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও ওষুধিগুণ আছে।

sojne-in

জানা যায়, বসতবাড়ির আঙিনা ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি ক্ষেতে সজনে চাষ করা যাবে। যশোর সেন্টারে বর্তমানে ২ হাজার চারা আছে। আরো ৫ হাজার চারা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।