ব্রোকলি চাষে সফল মিরসরাইয়ের কৃষি উদ্যোক্তা মামুন

এম মাঈন উদ্দিন
এম মাঈন উদ্দিন এম মাঈন উদ্দিন , উপজেলা প্রতিনিধি, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ব্রোকলি চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মামুন, ছবি: জাগো নিউজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ব্রোকলি চাষে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মামুন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ সবজি চাষাবাদে খরচ খুবই কম। এতে আছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারিতা। তাই ব্রোকলি চাষে মামুনের মতো অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর এসএসিপি প্রকল্পের গ্রিন ক্রাউন জাতের ব্রোকলি উপজেলায় ৩টি প্রদর্শনী নিয়ে ৫ একর জমিতে চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রদর্শনী হিসেবে ৫ একর জমিতে ১৫ জন কৃষক ব্রোকলি চাষ করেছেন। অন্য সবজির তুলনায় ব্রোকলি ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান চাষিরা। ৫০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেওয়া প্রদর্শনীতে ব্রোকলি চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক মোহাম্মদ মামুন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মিঠালার পূর্ব মলিয়াইশ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক মামুন নিজের চাষাবাদের প্রায় ৫০ শতক জমিতে ১৫০০ ব্রোকলি চারা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কোনো কোনো ব্রোকলির ওজন হয়েছে ৭০০-৮০০ গ্রাম। এসব ব্রোকলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ধরে। আকার অনুযায়ী দামের পরিবর্তন হয়।

ব্রোকলি চাষে সফল মিরসরাইয়ের কৃষি উদ্যোক্তা মামুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কৃষক মামুনের বাবা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘ব্রোকলি চাষে উপজেলা কৃষি অফিসাররা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। বিক্রির দামটা যদি আরও বেশি পেতাম, তবে আরও লাভবান হতে পারতাম।’

আরও পড়ুন

কৃষক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘গত বছর নিজেদের খাওয়ার জন্য কিছু জায়গায় ব্রোকলি চাষ করেছিলাম। খুব ভালো ফলন হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষের পরিকল্পনা করি। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী পেয়ে ৫০ শতক জমিতে চাষ করি। ফলন ভালো হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। আশা করি ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ব্রোকলি চাষে সফল মিরসরাইয়ের কৃষি উদ্যোক্তা মামুন

তিনি বলেন, ‘ব্রোকলির সঙ্গে এখনকার মানুষ তেমন পরিচিত নন। অনেক সময় ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হন না। তবে ভিন্ন হচ্ছে যারা ব্রোকলি সম্পর্কে জানেন; তারা বিক্রির নির্ধারিত দাম থেকে বেশি দিয়ে কিনে নেন। সাধারণ মানুষ পরিচিত হলে ভালো দামে বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ব্রোকলি একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে অ্যান্টি ক্যানসার উপাদানসহ বিভিন্ন ভিটামিন আছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু ব্রোকলি অনেকেই চেনেন না, তারপরও মোটামুটি চাহিদা আছে। আমরা এটি চাষাবাদের পাশাপাশি বাজারজাত এবং মানুষের কাছে পৌঁছাতে মাঠ দিবস করছি। এর উপকারিতাসহ নানা বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করছি। আশা করি চাষাবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।’

বিজ্ঞাপন

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।