সহসাই দেশে ফেরা হচ্ছে না সালাহউদ্দিনের


প্রকাশিত: ০৮:২৬ এএম, ১৫ মে ২০১৫

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলার ফাঁদে জড়িয়ে গেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন। তাই শিগগিরই দেশে ফেরার সুযোগ মিলছে না তার। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ভারতের ফরেন অ্যাক্ট আইনের ৪০ ধারায় শিলং আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার দেশে ফেরার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সালাহউদ্দিন অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারেনি পুলিশ। তিনি কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভোগছেন। তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে। শিলং হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি  ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সালাহউদ্দিন। এদিকে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের জবাব দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার ভারতের শিলং রাজ্যের গলফ লিংক এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় স্থানীয় জনতার কাছ থেকে খবর পেয়ে শিলং পুলিশ তাকে আটক করে। প্রথমে মানসিক রোগী ভেবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সালাহউদ্দিনের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে ভর্তি করা হয় মিমহ্যানজ মেন্টাল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় শিলং সিভিল হাসপাতালে। সেখানে পুলিশ প্রহরায় ইউটিপি ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তার। শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানকার সাংবাদিকরা সালাহউদ্দিনের সাথে কথা বলতে পারলেও বুধবার থেকে তার সাথে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে শিলং পুলিশ। পুলিশের কড়া প্রহরায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শিলং সিটি পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ এখনো সুস্থ নন। সুস্থ হলেই তাকে শিলং আদালতে হাজির করা হবে। একইসাথে শুরু হবে তদন্ত কাজ। চিকিৎসকদের অনুমতি না পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যাবে তিনি কিভাবে শিলং এলেন।

পুলিশ সুপার বিবেক আরো জানান, ভিসা এবং পাসপোর্ট ছাড়া অনুপ্রবেশ করে সালাহউদ্দিন ফরেন অ্যাক্ট আইনের ৪০ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এই অপরাধে ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করার বিধান রয়েছে। আদালতে মামলার রায় হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।

পুলিশ সুপার জানান, ইন্টারপোলের ঢাকা অফিস থেকে জানানো হয়েছে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট রয়েছে। আমরা ইন্টারপোলকে জানিয়ে দিয়েছি সালাহউদ্দিনের বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।

শিলং সিভিল হাসপাতালের পরিচালক ডা. নবেল রায় বলেন, সালাহউদ্দিন কিডনি এবং হার্টের সমস্যায় ভোগছেন। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। হার্টের মধ্যে পাথর ধরা পড়েছে।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।