রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাকার ফাঁসি : খন্দকার মাহবুব
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, সেফহোমে সাক্ষীদের এনে দিনের পর দিন শিখিয়ে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দেয়া হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই আদালত রায় প্রদান করেছেন।
বুধবার সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ বহাল রাখলে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাত্তর সালে সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি আর্মিদের সঙ্গে নিয়ে যদি লোকজনের উপর নির্যাতন করতেন তাহলে তিনি বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতেনা। সে সময় তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন। ইউনিভার্সিটি থেকে এর ডকুমেন্ট এনে আদালতে দিয়েছি, তারপরেও আদালত এমন রায় দিলেন।
তিনি বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে রিভিউ আবেদন করা হবে। আশা করি রিভিউয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে দেয়া রায়ের মধ্যে শুধুমাত্র ৭ নং অভিযোগে ২০ বছরের দণ্ড দেয়া হয়েছিল। সে অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। বাকি সব দণ্ডে আগের রায় বহাল রয়েছে।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ এবং ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এফএইচ/এআর/এএইচ/এআরএ/এমএস