ভুটানের সঙ্গে পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৫

ভুটানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দু’দেশের এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার গণভবনে ভুটানের সফররত অর্থমন্ত্রী ল্যেনপো ন্যামগে দরজির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, অংশীদারিত্ব বিনিয়োগ কিংবা সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার ভিত্তিতে এ ধরনের প্রকল্প নেয়া যায়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চল ও এর বাইরেও কানেকটিভিটি বাড়ানো ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে পানি বিদ্যুৎ এবং কানেকটিভিটি সম্পর্কিত বিষয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক উভয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয়, উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের উন্নয়ন কৌশলের অগ্রভাগে রয়েছে দারিদ্র্য নিরসন ও বৈষম্য নির্মূল করা। এর ফলে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি সন্তোষজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

এ অঞ্চলের ৪টি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রথম বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে কানেকটিভিটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপনে মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তা এই ৪ দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার কাজ এগিয়ে চলছে। ভুটান ও নেপাল এটি ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে পায়রা, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরও নেপাল ও ভুটান ব্যবহার করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ভুটানই প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল। এ জন্য দেশটি বাংলাদেশের হৃদয়ে বিশেষ স্থান রয়েছে।

বৈঠকে ভুটানের অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে জোরদার হবে। দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। তার বিকাশমান গণতন্ত্রের দেশ ভুটান বিভিন্ন সামাজিক খাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে অধিক বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার নীতি অনুসরণ করছে।

এ সময় সফররত অর্থমন্ত্রী তার দেশের রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সুবিধামতো সময়ে ভুটান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।