বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে ‘কোমেন’


প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উত্তর দিকে আরো অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, কোমেন উপকূল পার হওয়ার সময় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কোমেনের কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কত এবং মংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখানো হয়েছে।

এদিকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ উপকূল হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছায় কোমেন। ঝূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছ উপড়ে নিচে চাপা পড়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ ইসলাম ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় নুরুল ইসলাম ফকির নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে স্থায়ী প্রশাসন।

এর আগে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিলো, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূল ছুঁয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলেও জানানো হয়েছিলো। তবে দুপুর গড়িয়ে গেলেও তা আঘাত হানেনি। আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- ‘কোমেন’ বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদী ও এর পাশের এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ শুরু করেছে। এলাকাবাসীর চোখে মুখে লক্ষ্য করা গেছে আতঙ্ক। তবে এ মুহূর্তে কক্সবাজারের আকাশে গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে। কিছুক্ষণ পরপর দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে চলছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।

এসকেডি/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।