বিমান দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য মৃত্যু এড়াতে পারলো না যে মেয়েটি
নিয়তির পরিহাসে কখনো মহানুভবতার মূল্য দিতে হয় প্রাণের বিনিময়েও। ফ্রেঞ্চ আল্পস-এ বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির যাত্রী ১৫ বছরের মেয়েটির ক্ষেত্রে ঠিক যা ঘটেছে।
ডুসলডর্ফের জোসেফ কোয়েনিগ জিমনেসিয়াম স্কুল থেকে স্পেনে শিক্ষাসফরে আসা ১৫০ জন নবীন শিক্ষার্থীর একজন ছিল মেয়েটি। ৯ দিনের সফর শেষে ফেরার দিন বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরতে আসার পথে রেলস্টেশনে তার মনে পড়ল পাসপোর্ট আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নেই। ফেলে এসেছে যে পরিবারটি তাকে স্পেনে আতিথেয়তা দিয়েছিল, তাদের বাসাতেই। ফিরে গিয়ে সেগুলো নিয়ে আবার একইপথে রওয়ানা দিলে আর ধরা হতো না তার বন্ধুদের। কিন্তু পরিবারটি তাদের আতিথেয়তার চূড়ান্ত নিদর্শন হিসেবে মেয়েটিকে গাড়িতে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করলো। যথাসময়ে মেয়েটি উঠে গেল ফ্লাইটে। আর তাকে সঙ্গে নিয়েই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আছড়ে পড়লো বিমানটি।
এই খবর শোনার পর থেকে স্পেনের ঐ পরিবারটির শোক যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাদের মহানুভবতার পরিণতি যে এমন মর্মান্তিক হতে পারে, তা ছিল তাদের কল্পনার বাইরে।
মঙ্গলবার সকালে ১৪০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে জার্মানউইং এর ফ্লাইট ফোর ইউ ৯৫২৫ ফ্রেঞ্চ আল্পস-এ বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীদের কেউই বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
এসআরজে