বাড়তি টাকা ছাড়া মিলছে না শ্যামলী পরিবহনের টিকিট
শ্যামলী পরিবহনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীরা বলছেন নির্ধারিত টাকায় টিকিট চাইলে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটের জন্য অনুরোধ করলে বাড়তি টাকা দাবি করা হচ্ছে কাউন্টার থেকে। অসহায় অনেকেই স্বজনদের নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরতে বাড়তি টাকা গুনেই টিকিট কিনছেন।
একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, শ্যামলী পরিবহনের কল্যাণপুর ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার টিকিট টেকনিক্যাল কাউন্টার থেকে সকাল ৭টায় বিক্রি শুরু হয়।
কিন্তু সাড়ে আটটার দিকেই কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ। তবে টিকিট পেতে মরিয়া যাত্রীরা অনুনয় বিনয় করলে বাড়তি টাকা দাবি করা হচ্ছে কাউন্টার থেকে।
আবু তাহের নামে এক যাত্রী বলেন, গাইবান্ধার সাধারণ ভাড়া ৪০০ থেকে সাড়ে ৪৫০ টাকা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষ্যে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫২০ টাকা। তবুও মিলছে না টিকিট। ৫২০ টাকার টিকিট ৭৫০ টাকায় বাধ্য হয়ে কিনতে হয়েছে।
তবুও ঘরে ফিরতে মরিয়া যাত্রীদের ছুটাছুটির যেন শেষ নেই। এক কাউন্টারে হচ্ছে না তো আরেক কাউন্টারের লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
শাম্মি আক্তার নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা যাবেন নাটোরে। তিনি আমিন বাজার এলাকা থেকে গাবতলীতে এসেছেন টিকিট কিনতে। তিনিও বলছেন নাটোরের ভাড়া ৩৫০ টাকা। কিন্তু ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫৬০ টাকা। ঈদে বাসায় যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। নারীদের জন্য আলাদা কোনো টিকিট কাউন্টার কিংবা লাইন নেই। সে কারণে নারীদের টিকিট পেতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
টেকনিক্যালে অবস্থিত শ্যামলী কাউন্টারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি নিছক অভিযোগ। এধরণের অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তবে বেশ কিছু রুটের টিকিট ইতিমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা ক্ষোভে এমন অভিযোগ করছেন।
জেইউ/এসকেডি/এমএস