বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০.৬
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি ও সমমানের) পরীক্ষায় পাসের হার ৭০.০৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩শ ১৯ জন। এবার ৫৫ হাজার ৮শ’৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ হাজার ৯৭ জন। রোববার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের হলরুমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২৮ হাজার ৩০৫ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৯শ৭৮ জন। পাসের হার ৬৭.০৫ ভাগ। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬শ’৬০ জন। এদিকে ২৭ হাজার ৪শ ৯৯ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ১শ ১৯ জন। পাসের হার ৭৩.১৬ ভাগ। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬শ ৫৯ জন। মেয়েদের তুলনায় ছেলে পরীক্ষার্থী বেশ হলেও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা।
বিজ্ঞান বিভাগে ৭ হাজার ২শ৫৪ জনর মধ্যে পাসে করেছে ৫ হাজার ৪শ৫৮ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮শ ৯৬ জন। পাসের হার ৭৫.২৪ ভাগ। মানবিক বিভাগে ২৯ হাজার ৮শ২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯ হাজার ৩শ৪৮ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ৫৯ জন। পাসের হার ৬৪.৮৮ ভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৮ হাজার ৭শ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪ হাজার ২শ৯১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৪ জন এবং পাসের হার ৭৬.৩০ ভাগ।
এ বছর বরিশাল বোর্ডের ১০৯টি কেন্দ্রে ৩০১টি কলেজ থেকে ৫৬ হাজার ৬শ৮০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৫৫ হাজার ৮শ৪ জন। এর মধ্যে ৫টি কলেজ থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এগুলো হলো, বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। এখান থেকে ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে।
এছাড়া বরিশাল নগরীর জগদ্বীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ জন পরীক্ষার্থীর ২জন, পটুয়াখালীর গলাচিপা পানপট্টি কলেজ থেকে ২ জনের মধ্যে ২ জন, পিরোজপুরের নাজিরপুরের শহীদ জননী মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে ৪৪ পরীক্ষার্থীর ৪৪ জন এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সেহাঙ্গল স্কুল অ্ন্ডযা কলেজ থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে।
এদিকে, বরিশাল বোর্ডে এবার ৫টি কলেজে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল (অকৃতকার্য) করেছে। এর মধ্যে বরগুনার চান্দখালী ইসহাক মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই, বরগুনার কাকচিড়া মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬ পরীক্ষার্থীর সবাই, পটুয়াখালীর দুমকী নাসিমা কেয়ামত আলী মহিলা কলেজ থেকে ২৬ পরীক্ষার্থীর সবাই, পটুয়াখালীর মজিদবাড়িয়া কলেজ থেকে ৭ পরীক্ষার্থীর সবাই এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া বিহারী পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৫ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
গত বছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭১.৭৫ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ২শ’ ২৫ জন।
এবার পাসের হার তুলানামূলক কম এবং জিপিএ-৫ প্রায় অর্ধেক হওয়ার কারণ সম্পর্কে শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, সব সময় ফলাফল এক রকম হয়না। এ বছর এইচএসসিতে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং অতিরিক্ত হিসেবে আইসিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কারণে ফলাফল কিছুটা খারাপ হলেও আগামীতে সার্বিক ফলাফলের উন্নতির জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করে আগামীতে তারা যাতে ভাল ফলাফল করতে পারে সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষ নজর দিয়েছে বলে তিনি জানান।
সাইফ আমীন/এসএস/এমএস