বরিশাল-ঢাকাসহ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় বরিশাল-ঢাকাসহ সকল নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বরিশাল নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অভ্যন্তরীণ ও বরিশাল-ঢাকাসহ সকল নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় বরিশাল থেকে সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে, কয়েক দিন থেকে কখনো ভারি আবার কখনো গুড়ি গুড়ি অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। দমকা আকারে বাতাস বয়ে যায় ১৬ নটিক্যাল মাইল গতিবেগে। সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯০ভাগ। অর্থাৎ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. ইউসুফ জাগো নিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত ও বরিশাল নদী বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরার উপকূলীয় চর এলাকা পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৪ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত , দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনেরই প্রস্ততি তারা নিয়ে রেখেছে।
সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর