প্রতিবেশীদের নিয়েও ভাবতে হবে : শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ১৫ জুন ২০১৫

দারিদ্র্যকে অভিন্ন শত্রু হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ও যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভৌগলিক গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে জনগণের জীবনমান উন্নত করে দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এর বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াই চালাতে হবে। কেবল নিজেদের নিয়ে ভাবনাটা সঠিক হবে না। আমাদেরকে প্রতিবেশীদের নিয়েও ভাবতে হবে। লন্ডনের পার্ক লেন হোটেলে রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এক সাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ বাড়িয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমার ইতোমধ্যে ‘বিসিআইএম ইকোনমিক করিডর (বিসিআইএম-ইসি)’ নামক যৌথ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান উন্নয়নের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নকে সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাফল্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে একের পর এক সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে। সরকার মায়ানমার-ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেও আন্তর্জাতিক সাশিলী আদালতে মামলা রজ্জুর মাধ্যমে সমুদ্রসীমা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি এবং এ আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বাঙালি জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।

ভারতের সাথে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনা সভা আয়োজন করে।  যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

বিখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দেয়া মানপত্র পড়ে শোনান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র বেশ কয়েকটি কপি পাওয়ার পর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের বেশকিছু সংখ্যক সদস্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার দলীয় এমপি এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী, কার্ডিফ সেন্ট্রালের লেবার দলীয় এমপি জো স্টিভেনস, ইলফোর্ড নর্থের লেবার দলীয় এমপি ওয়েস স্ট্রিং, ইলফোর্ড সাউথের লেবার দলীয় এমপি মাইক গেপস এবং সুতন ও চীপের রক্ষণশীল দলের এমপি পাউল স্কাউলি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ঝিনাইদাহ’র আওয়ামী লীগ সাংসদ নবী নেওয়াজ, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।