পাঁচটি কারণে সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ!


প্রকাশিত: ০৪:১৩ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৫

শেষ আটে খেলার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বটে, তবে স্বপ্নের তো কোনো সীমানা নেই। এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য সেমিফাইনালের। সেই লক্ষ্য পূরণে টাইগারদের সামনে বাঁধা ভারত। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) সেই ম্যাচের মধ্যে চলুন জেনে নেই বাংলাদেশের শক্তিমত্তার জায়গাগুলো -

১. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
পাঁচ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪৪ রান। আর এটা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। আর প্রতিপক্ষ ভারতের কোন ব্যাটসম্যানই সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সমান বা বেশি রান করতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি ৩৩৭ রান এসেছে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে।

২. তামিম-ফ্যাক্টর!
বলা হয় পোর্ট অব স্পেনের সেই ম্যাচ দিয়েই সর্বপ্রথম তামিম ইকবালকে চিনেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। জহির খান অজিত আগারকারদের ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। ৫১ রানের ইনিংসের পর চার বছর পর ঢাকাতেও তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ রানের এক ইনিংস। আর এটাই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশি কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

৩. পরিসংখ্যান-ইতিহাস
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দু’দল দুবার মুখোমুখি হয়ে প্রত্যেকেই জিতেছে একটি করে ম্যাচে। তবে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরেই প্রথম পর্বেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যাচে হারলেও এর এক বছর পরেই এশিয়া কাপ থেকে ভারতকে ছিটকে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আর কাকতালীয় ভাবে দুটি ম্যাচই ছিল মার্চ মাসে!

৪. মাইলফলক
বাংলাদেশ অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বৃহস্পতিবার ভারতের সাথে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটাই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ওয়ানডের ইতিহাসে তিনশতম ম্যাচ। এমন মাইলফলকের ম্যাচে বরাবরই বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারত। ২০০৪ সালে নিজেদের শততম ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পাওয়া ম্যাচটা আবার ছিল দের’শতম ম্যাচ।

৫. অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশ দলের এমন ছয় জন খেলোয়াড় আছেন যারা এবারের পাশাপাশি ২০১১ সালেও বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। তামিম, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুসফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং রুবেল হোসেন। ভারতের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি মাত্র দুই। তারা হলেন অধিনায়ক ধোনি ও বিরাট কোহলি। ফলে, বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই।

এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।