পটুয়াখালীর সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ


প্রকাশিত: ০৬:০০ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় সকল ধরনের লঞ্চসহ নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় নদীবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানান, নৌ বন্দরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি জানান, পটুয়াখালী-ঢাকা-আমতলী-বরগুনার সকল রুটের ছোট-বড় সকল লঞ্চ ও নৌযান এ নিদের্শের আওতায় থাকবে । পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় ৫ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সকাল থেকে জেলার সর্বত্র বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল ১০টার পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা আকারে বাতাস বইছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বাড়ছে। উপকুলীয় এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

কলাপাড়া রাডার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত ও বরিশাল নদী বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে ।

পটুয়াখালীর উপকূলীয় চর এলাকা পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৪ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত, দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে, জেলা প্রসাশকের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রসাশক দরবার হলে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং করা হবে।

সাইফ আমীন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।