নেপালে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে
নেপাল ভূমিকম্পে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি মতে এই সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি চলবে। ফলে আপাতত বন্ধ রয়েছে উদ্ধারকাজ। এই পরিস্থিতে নেপালজুড়ে এখন খাদ্য ও পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। দূরের গ্রামে এখনও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছাতে পারেননি উদ্ধারকারী দল।
শনিবার বেলা স্থানীয় সময় ১১টা ৫৭ মিনিট নাগাদ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপালসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ও উত্তর ভারত, তিব্বত ও বাংলাদেশ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের পোখরা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৯। মাটির মাত্র ১১ কিমি নীচে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এর জেরে নেপালে ভেঙে পড়েছে মিনার, বহু ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন অসংখ্য। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
সময় যতো বাড়ছে ততোই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার একবার নয় দু’বার নয় মোট ১৪ বার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। যার সবেরই মাত্রা ছিল চারের বেশি। ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে কাঠমাণ্ডুর দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফলে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে নেপালের রাজধানীর। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কাঠমাণ্ডু। ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছে নেপালের রাজধানীর ঐতিহাসিক ধরাহরা টাওয়ার।
ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। রাস্তাজুড়ে ধস নেমেছে। ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দ্রুত উদ্ধারকাজে নামে নেপালের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কাজ করেছে হেলিকপ্টারও। এরপর রোববারও আরও একবার জোরদার ভূ-কম্পন হয়। রিকটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৯। জানা যায়, এই দু`দিনে মোট ৬৬ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অাসাম, বিহারসহ উত্তর এবং উত্তর পূর্বের বিভিন্ন এলাকায়। ৩৮ মিনিটের মধ্যে দু’বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন সাধারণ মানুষ।
অন্য দিকে, ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে এভারেস্টে তুষারঝড় ওঠে। যার জেরে বিপদের মুখে পড়েন পর্বতারোহীরাও। তুষারধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে মাকালু বেসক্যাম্প। ৬৮ পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। চরম ক্ষতির মোকাবিলা করতে বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন নেপাল সরকার।
বিএ/আরআইপি