ধস নামবে নেপালের পর্যটন ব্যবসায়
পরপর দুদিন শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২২০০ জনে ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দশ হাজার লোক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক লাখ নাগরিক। এ অবস্থায় দেশটিতে যখন ধ্বংসস্তুপের খেলা চলছে তখন দেখা দিচ্ছে আরেক সংশয়। ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে দেশটির পর্যটন খাতে।
নেপালের মোট আয়ের ৩০ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। ভূমিকম্পের পর থেকে নেপালগামী বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা একের পর এক বাতিল করছেন তাদের নেপালযাত্রা। নেপালের অন্যতম প্রধান পর্যটন শহর পোখারা। শনিবার আঘাত হানা ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিও ছিল এখানে। তাই স্বাভাবিকভাবে পোখারা শহরে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাচ্ছে।
ভূমিকম্পে নেপালের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ রাজধানী কাঠমান্ডুর বিখ্যাত দারাহারা বা ভীমসেন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৮৩২ সালে নির্মিত নয়তলা এ টাওয়ারটির উচ্চতা ছিল ৬১.৮৮ মিটার। ধ্বংস হয়ে গেছে আরও অসংখ্য হোটেল-মোটেলসহ পর্যটননির্ভর অনেক স্থাপনা।
এ দিকে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গ। শনিবারের ভূমিকম্পে তুষারধসে এখানে ১৮ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়ছে। আটকা পড়েছিল আরও কয়েকশো পর্বতারোহী। এখানেও যথারীতি পর্যটক আসা কমিয়ে দিবে।
ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার লোক নেপাল ভ্রমণে যান। এছাড়া বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রের অনেক শুটিংও ধারণ করা হয় নেপালে। ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কে আছেন এসব পেশার লোকজনও।
বাংলাদেশের একটি নামকরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম আরমান বলেন, আগামী ১ মে আমার নেপাল টুর ছিল। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা দেখে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।
উল্লেখ্য, শনিবার নেপালে রিখটার স্কেল ৭ দশমিক ৯ মাত্রায় ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। পাশপাশি নেপালসহ ভারত, বাংলাদেশ ও ভূটানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বিএ/আরআইপি