ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ : নোয়াখালীতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় নোয়াখালীতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হরা হয়েছে। সকাল থেকে জেলার উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া সূবর্ণচর ও সমুদ্র তীরবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চল থেকে সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অনুপম বডুয়া জানান, ওই চার উপজেলার উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সকালে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয়েছে।
তিনি জাগো নিউজকে আরো জানান, জেলা সদরে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপশি চার উপজেলার ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ১২৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগ মূহুর্তে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছ। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসসহ দুর্যোগ সময় ও পরবর্তীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সড়ক ও জনপথের বিভিন্ন যানবাহন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহেল আলমকে হাতিয়া ও সূবর্ণচর উপজেলার সাবির্ক বিষয় তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোক্তার হোসেনকে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চার উপজেলায় বিভিন্ন খাদ্য শষ্য ও নগদ টাকা পৌঁছানো হযেছে। পরবর্তীতে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া এ চার উপজেলায় দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে ও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মো. মইন উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় উপকূলের মানুষকে নিরাপদে সরে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলেও একই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
# ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর সব খবর এখানে
# পটুয়াখালীতে ঝড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
মিজানুর রহমান/ এমএএস/পিআর