গ্রেনেড হামলাসহ ৬ মামলার আসামি পিন্টু
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে রয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলাসহ ৬টি ফৌজদারি মামলা। বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিও তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চলমান অবস্থায় মারা গেলেন ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য।
রোববার দুপুর ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও পুরান ঢাকায় কয়েকটি মামলায় এজহারভুক্ত আসামী তিনি।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের এডিসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছাড়াও অর্ধ ডজন ফৌজদারি মামলার আসামী তিনি। তার বিরুদ্ধে সকল মামলা চলমান রয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। ২০১৩ সালের নভেম্বরে বিডিআর হত্যা মামলার রায়ে পিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী জওয়ানদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ২০ এপ্রিল তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এর আগেও গত সপ্তাহে হার্টের সমস্যায় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারাগারে থেকেই তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন।
তবে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ইন্ধনের অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তিনি দণ্ডিত হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন। হার্ট, কিডনি, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যাও ছিল তার।
সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
জেইউ/এএইচ/পিআর