একনজরে রাজধানীর কাঁচামালের দাম
পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর কাঁচামালের দাম নিয়ে ক্রেতাদেরকে বিভ্রান্তিতে পড়তে দেখা গেলেও এবার কিছুটা ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রমজানের কারণে সব পণ্যের দাম দ্বিগুন না হলেও কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর মালিবাগের শান্তিনগর কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বেগুন ৫০ টাকা, শসা ২০/২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, টমোটো ৪৫ টাকা, ফুলকপি ৩০টাকা, পটল ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বরবটি ৪০, পেঁপে ৩০/৩৫টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রবেশ পথেই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের তালিকা টাঙ্গানো রয়েছে। সেখানে গরুর মাংস ৪০০ টাকা খাসির মাংস ৫৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১৬৫ টাকা, পটল ৩০, মরিচ ৪০ শসা ৩০ বেগুন ৫০, টমেটো ৪৫, ফুলকপি ৩০, মিনিকেট চাল ৪৪/৪৬, নাজির শাহের চাল ৫০/৫২, চিনিগুড়া চাল ৭০/৭৫, দেশি মশুর ডাল ১১৫, নেপালি মশুর ডাল ৯০, চিনি ৪০, দেশি পিয়াজ ৪০, ভারতীয় পেয়াজ ৩৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত মূল্যে প্রায় সব পণ্য বিক্রি করা হলেও খাসির মাংস রাখা হচ্ছে সাড়ে ৬০০ টাকা। এছাড়া শসার দাম রাখা হচ্ছে ২০/২৫ টাকা, কাচামরিচের দাম ৩০ টাকাই রাখা হচ্ছে। তবে বেগুনের দাম বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। যেটা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা।
এদিকে করলা ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঝিংগা ও কাকরোল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আইয়ুব আলী নামে একজন ক্রেতা জাগোনিউজকে জানান, দ্রব্য মূল্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে না বাড়লেও রমজান শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুর্হুতে দাম আরো বাড়বে।
তবে শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া জানান, কাঁচামালের আমদামী এখন পর্যন্ত ভালো তাই দাম তেমন বাড়েনি। পরিস্থিতি এরকম থাকলে দাম অপরিবর্তীত থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
এমএম/এসকেডি/এআরএস/এমএস