এএসআই কলিমুরের কর্মস্থল নিয়ে পুলিশে বিভ্রান্তি!


প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১৪ জুন ২০১৫

তুরাগ থানার নারী পুলিশ কনস্টেবলকে ‘ধর্ষণের’ দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কলিমুর রহমানের বর্তমান কর্মস্থল নিয়ে পুলিশের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা গেছে। তার এ ‘অপকর্মের’ দায় নিচ্ছে না পুলিশের কোনো বাহিনী।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি এএসআই কলিমুর রহমানকে দু`দিন আগেই খিলগাঁও থানা থেকে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোস্তাফিজ ভুঁইয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কলিমুর খিলগাঁও থানায় কর্মরত নয়। দু`দিন আগে তাকে পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নে (এসপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।’

বুধবার রাতে কলিমুরের বিরুদ্ধে তুরাগ থানার এক নারী কনস্টেবল ও তার সাবেক স্ত্রীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই কনস্টেবলের বড় বোন।

১২ জুন পুলিশের জারিকৃত এক আদেশে এএসআই কলিমুরকে পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নে (এসপিবিএন) বদলি করা হয়। তবে বদলির দু`দিন পরেও কলিমুর সেখানে যোগ দেননি বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন এসপিবিএনের পুলিশ সুপার (এসপি-১)।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘খিলগাঁও থানা থেকে দু`দিন আগে তাকে এসপিবিএএন ফোর্সে বদলি করা হলেও যোগদান করেননি। কবে যোগদান করবেন এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানাননি। যেহেতু কলিমুর ফোর্সে যোগ দেননি তাই তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তার সন্ধানও নেই।’

এদিকে, মামলার একদিন পরেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি কলিমুরকে। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ‘তার অবস্থান সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

খিলগাঁও থানার ওসি বলেন, ‘থানায় কর্মরত না থাকলেও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

এদিকে ওই কনস্টেবলের বোনের দায়ের করা মামলায় কলিমুর ছাড়াও তার অজ্ঞাত তিনজন বন্ধুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে মুনতাসিরুল বলেন, ‘এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।’

# ধর্ষিত নারী পুলিশ সদস্যের ফরেনসিক টেস্ট সম্পন্ন

এআর/বিএ/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।