উপকূলের ২২ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল


প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলের ২২ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি ও কক্সবাজারের ৮টি উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৮৮টি মেডিকেল টিম গঠনসহ সর্বাত্মক আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন মজুমদার ছুটি বাতিলের খবরের সত্যতা স্বীকার করে সকালে জাগো নিউজকে জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালি, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়ায় বন্যার প্রকোপ চলছে। এছাড়া কক্সবাজারে জোয়ারের পানি বেড়েছে।

এছাড়া বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে।

বুধবার সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য  করেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে সেন্টমার্টিনে গাছের চাপায় একজনের মৃত্যু  হয়েছে। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. কমরউদ্দিনের কাছে এ তথ্যের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টেলিফোনে সেন্টমার্টিন থেকে এক ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর পেয়েছেন বললেও বিস্তারিত নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি।  

তিনি জানান, সেন্টমার্টিনে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি স্থাপনায় একজন ডাক্তার, একজন ফার্মাসিষ্ট ও একজন হেলথ অ্যাসিষ্ট্যান্ট রয়েছেন। ঘূর্নিঝড় থামার পর ক্ষয়ক্ষতির খোঁজখবর শুনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নার্সসহ একাধিক মেডিকেল টিম পাঠানো হবে।

তিনি জানান, কক্সবাজারের  ৮টি জেলার ৭১টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কোমনের আঘাতে কয়টি উপজেলা, ইউনিয়ন কিংবা গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত সেন্টমার্টিন ছাড়া আর কোথাও বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাস বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। কক্সবাজার এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে বলে তিনি জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এর ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, তারা চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কোন কোন ওষুধ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক চিকিৎসা সামগ্রী প্রয়োজন তা জেনে নিয়ে দ্রুত সরবরাহ করবেন। সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ে একজনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনলেও এখনও নিশ্চিত করে নাম পরিচয় পাননি বলে জানান।

এমইউ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।