আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতারা গুলশানে


প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

চলতি মাসের ৪ জানুয়ারি রাত থেকে আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভীড় লেগেছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে। শনিবার মালেশিয়ার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মুত্যুর পর গুলশান কার্যালয়ে তাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

শনিবার রাত ৬টা ৪৫ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির অন্তত একহাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশে চলমান অবরোধে যারা রাজপথে না থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন, এমনকি মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে যােগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। তারা কোকোর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে গুলশান কার্যালয়ে এসে ভীড় করছেন।

বিকাল থেকে এ পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে এসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, রফিকুল ইসলাম খান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসনে, কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ও রুহুল আলম চৌধুরী, আ: সালাম আযাদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, আবদুল গাফফার চৌধুরী, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. আবম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামান প্রমূখ।

২০ দলীয় জােটের নেতাদের ছাড়াও বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদেরকেও কোকাের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর দৃশ্যপটে আসতে দেখা গেছে।

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিএসএফ এর একজন সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, গত ৫ জানুয়ারি অনির্দিষ্ট অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে গুলশান কার্যালয়ে এত বেশী নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার পর যখন পুরোপুরি শিথিল করা হয়েছে তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা গুলশানে আসেননি।

এমএম/এএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।