আজ আঘাত হানতে পারে কোমেন


প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর এবং ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় কোমেনে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সব সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর এবং পায়রা ও মংলা সব সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বরিশাল-চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ৩-৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। উপকূলীয় এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার দিবারাত ১২টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ বুধবার দিবাগত রাত ৯টায়  চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল (২১.৭ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর বা বিকেল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলা এবং এসব স্থানের নিকটবর্তী সব দ্বীপ ও চর সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে পাঁচ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এদের নিটকবর্তী সব দ্বীপ ও চর পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের নিকটর্তী সব দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলা এবং এদের নিকটর্তী সব দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সহ ঘন্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্রগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী সব জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

# ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
# কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।