মাগরিব ও ইশা নামাজে বিশ্বনবির ক্বিরাআত

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১০ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে সুরা ফাতিহার পর সুনির্দিষ্ট সুরা থেকে কম-বেশি আয়াত বা সম্পূর্ণ সুরা তিলাওয়াত করতেন। যারা সুন্নাতের একান্ত অনুসরণ ও অনুকরণ করতে আগ্রহী, তাদের এ ক্বিরাআত বা সুরা সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি। যা তুলে ধরা হলো-

মাগরিবের কিরাআত
মাগরিবের নামাজে ছোট সুরা পড়ার রীতি উমাইয়া খলিফা মারওয়অন ইবনে হাকামের সময় থেকে শুরু হয়েছে। তাদের এ রীতির বিরুদ্ধে হজরত যায়েদ বিন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রতিবাদ করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিবের নামাজে প্রথম দুই রাকাআতে সুরা আরাফ পাঠ করেছেন। তিনি একবার সুরা তুর এবং অন্যবার সুরা মুরসালাতও পাঠক করেছেন।

ইমাম ইবনে আব্দুল বার রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিবের নামাজে সুরা আলিফ-লাম-মিম সোয়াদ, সাফফাত, দুখান, আ’লা, ত্বীন, নাস, ফালাক এবং সুরা মুরসালাত পাঠ করেছেন।

জেনে নিন : জোহর ও আসর নামাজে বিশ্বনবির ক্বিরাআত

ইশার কিরাআত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশার নামাজে সুরা তীন পড়েছেন এবং হজরত মুআ’য রাদিয়াল্লাহু আনহু’র জন্য তিনি সুরা শামস্, সুরা আলা, সুরা লাইল এবং অনুরূপ সুরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

হজরত মুআ’য রাদিয়াল্লাহু আনহু বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ইশার নামাজ পড়তেন। তারপর তিনি তাঁর মহল্লায় গিয়ে উক্ত নামাজের ইমামতি করতেন। একবার তিনি বিশ্বনবির সাথে ইশার নামাজ পড়েও কিছুক্ষণ দেরি করলেন। ঐ দিকে তাঁর মহল্লার লোকেরা তাঁর পিছনে ইশার নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।

তিনি বিলম্বে ফিরে এসে সেদিন সুরা বাকারা দিয়ে নামাজ শুরু করে দিলেন। একজন মুসল্লী দীর্ঘ কিরাআতে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে পিছনে গিয়ে একা একা নামাজ পড়ে চলে গেলেন। এ কারণে হজরত মুআ’য রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, অমুক মুনাফিক হয়ে গেছে।

লোকেরা বিষয়টি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে পেশ করলে তিনি মুআ’য রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, ‘হে মুআ’য! তুমি কি মানুষকে ফিতনায় ফেলতে চাও? (বুখারি)

হজরত মুআ’য রাদিয়াল্লাহু আনহুর মহল্লার লোকেরা যেহেতু তাঁর পিছনে ইশার নামাজ পড়ার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করতেন, তাই তার জন্য বেশী দীর্ঘ কিরাআত শুরু করা উচিত হয়নি।

এ কারণেই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত মুআ’জ রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য ইশার নামাজে কিরাআত পড়ার জন্য সুরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত পন্থায় মাগরিব ও ইশার কিরাআত পড়ার তাওফিক দান করুন। ইবাদাত-বন্দেগিতে সুন্নাতে নববির ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। সমাজের সর্বস্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহিহ সুন্নাতের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।