সুবহানের ফাঁসির আদেশ
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুস সুবহানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলায় আনিত ৯টি অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১, ৪ ও ৬ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ২ ও ৭ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ নম্বর অভিযোগের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৫, ৮ ও ৯ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি প্রসিকিউশন। তাই এ অভিযোগ থেকে আবদুস সুবহানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ মামলায় আবদুস সুবহানের বয়স বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আট কার্যদিবসে সুবহানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।
এর আগে গত ৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ও গত বৃহস্পতিবার আট কার্যদিবসে সুবহানের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল-মালুম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
সুবহানের বিরুদ্ধে মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ৯টি সুনির্দিষ্ট ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুবহানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিএ/এমএস