ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রাণী ও পাখির সংখ্যা ২৬২২

রাজধানী ঢাকা চিড়িয়াখানায় ১৩৮ প্রজাতির ২ হাজার ৬২২টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম কাজী রোজীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, প্রজাতি ভিত্তিক খাদ্যাভাসের ভিত্তিতে পুষ্টিমান বিবেচনা করে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণালব্ধ ফলাফল ও উন্নত চিড়িয়াখানার প্রাণী খাদ্যের তালিকা অনুসরণ করে পুষ্টিমান ‘আপডেট’ করা হয়।
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, খাদ্যসমূহ চিড়িয়াখানার অনুমোদিত খাদ্য গ্রহণ কমিটির মাধ্যমে দৈনিক সরবরাহ গ্রহণ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানদের উপস্থিতিতে এনিম্যাল কেয়ারটেকারদের মাধ্যমে খাঁচায় খাঁচায় সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতিদিন মাংসাশি প্রাণীর খাদ্য হিসাবে সরবরাহকৃত গরু জবাই করার আগে ভেটেরিনারি সার্জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, তার ফিটনেস সনদের ভিত্তিতে জবাইকৃত গরুর মাংস বুঝে নেয়া হয়। গবেষণা শাখা, ঢাকা চিড়িয়াখানার মাধ্যমে ফরমালিন কিট ব্যবহার করে মাছ, শাক-সবজি ও ফলমূলে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।
প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রাণী-পুষ্টি শাখার মাধ্যমে দানাদার খাদ্যসমূহ যেমন গমের ভূষি, ছোলা, পোল্ট্রি ফিড, শস্য বীজ ইত্যাদি নমুনা নিউট্রিশন ল্যাবরেটরি, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ঢাকা এবং কেন্দ্রীয় প্রাণী রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে পাঠানো হয়। নিউট্রিশন ল্যাবরেটরি খাদ্যদ্রব্যের পুষ্টিমান বিশ্লেষণ করে এবং কেন্দ্রীয় প্রাণী রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার প্রাণী খাদ্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের উপস্থিতি পরীক্ষা করে। গবেষণাগারের ফলাফলের ভিত্তিতে খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ অথবা বর্জন করা হয়।